ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৫ সালে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত

Md Rejaul Hafiz
  • আপডেট সময় : ০৫:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫ ৫৪ বার পড়া হয়েছে

বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত

বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন বাংলাদেশে কত থেকে শুরু হয় এবং বিদেশে তাদের আয় কত হতে পারে? সরকারি ও বেসরকারি চাকরি, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন, আর ক্যারিয়ার সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত জানুন। বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার কথা বললেই সবার আগে যে নামটি মাথায় আসে, সেটি হলো বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়)। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বুয়েট গ্রাজুয়েটরা নিজেদের দক্ষতার জন্য আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেক শিক্ষার্থী জানতে চান, বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?

আমি যখন প্রথমবার বুয়েটের একজন সিনিয়র ভাইয়ের সাথে দেখা করেছিলাম, তিনি বলেছিলেন,
“চাকরির বাজারে বুয়েটের নামটাই যথেষ্ট, তবে বেতন নির্ভর করে তুমি কোন সেক্টরে কাজ করছ তার ওপর।”
এই কথাটাই সত্যি। চলুন বিস্তারিত দেখি বাংলাদেশ এবং বিদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতনের বাস্তব চিত্র।

বাংলাদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার সুযোগ

বুয়েট থেকে পাশ করা মানেই আপনি শুধু ইঞ্জিনিয়ার নন, বরং বাংলাদেশের চাকরির বাজারে এক ধাপ এগিয়ে।

সরকারি চাকরি

বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন (BPSC) এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকৌশলী পদে বুয়েট গ্রাজুয়েটরা যোগ দেন। সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামো নির্ধারিত হলেও, স্থায়িত্ব এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকে।

বেসরকারি চাকরি

বহুজাতিক কোম্পানি, কনস্ট্রাকশন ফার্ম, টেলিকম, আইটি, এনার্জি সেক্টর—সব জায়গায় বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বিশাল চাহিদা। এখানে বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি এবং পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

বিদেশে সুযোগ

বুয়েট গ্রাজুয়েটরা সহজেই বিদেশের টপ ইউনিভার্সিটি ও কোম্পানিতে সুযোগ পান। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের চাহিদা অনেক।

বাংলাদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কাঠামো

প্রাইভেট সেক্টর

বাংলাদেশে ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হিসেবে একজন বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন সাধারণত ৩০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকার মধ্যে হয়। তবে টেলিকম বা বহুজাতিক কোম্পানিতে এই অঙ্ক আরও বেশি, প্রায় ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমি এক বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইকে চিনি, যিনি একটি বিদেশি কনস্ট্রাকশন ফার্মে কাজ করছেন। তার ফ্রেশ বেতনই ছিল প্রায় ৯৫,০০০ টাকা

সরকারি চাকরি

সরকারি চাকরিতে ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত গ্রেড-৯ বা গ্রেড-১০ এ যোগ দেন। এতে শুরুতে বেতন হয় প্রায় ২২,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা, সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা।

ব্যাংক ও ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর

কিছু বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার ব্যাংক বা ফিন্যান্স কোম্পানিতেও কাজ করেন। এখানে বেতন স্কেল সাধারণত বেশি, প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা দিয়ে শুরু হয়।

শিক্ষাক্ষেত্র

যারা একাডেমিক দিক পছন্দ করেন, তারা লেকচারার বা শিক্ষক হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে বেতন শুরু হয় প্রায় ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা, পরবর্তীতে পদোন্নতির সাথে অনেক বাড়ে।

বিদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন

মধ্যপ্রাচ্য

সৌদি আরব, কাতার, দুবাইতে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা খুব বেশি। সেখানে মাসিক বেতন সাধারণত ২,০০০ থেকে ৪,০০০ ডলার (প্রায় ২-৪ লাখ টাকা)।

ইউরোপ-আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় একজন বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার শুরুতেই বছরে ৬০,০০০ থেকে ৯০,০০০ ডলার (প্রায় ৬০ লাখ থেকে ৯০ লাখ টাকা) আয় করতে পারেন। গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজনের মতো টেক কোম্পানিতে গেলে এই অঙ্ক আরও অনেক বেশি হয়।

গবেষণা ও স্কলারশিপ

অনেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যান। পিএইচডি বা মাস্টার্স স্কলারশিপ করলেও মাসে ১,২০০ থেকে ২,৫০০ ডলার স্টাইপেন্ড পাওয়া যায়।

অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন পরিবর্তন

  • ফ্রেশ গ্রাজুয়েটদের বেতন সীমিত হলেও দ্রুত বাড়ে।
  • ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় একজন ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকাতে পৌঁছানো অস্বাভাবিক নয়।
  • ১০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতায় এবং ম্যানেজারিয়াল পজিশনে গেলে বেতন দাঁড়ায় ৩ লাখ টাকার বেশি

আমার এক বুয়েটিয়ান ভাই বর্তমানে একটি বহুজাতিক কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার। তিনি মাসে ৩.৫ লাখ টাকা বেতন পান, সাথে বিভিন্ন বোনাস ও ভাতা।

কেন বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন বেশি

  1. দক্ষতা ও সুনাম: বুয়েট গ্রাজুয়েটদের টেকনিক্যাল স্কিল এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানের।
  2. নেটওয়ার্কিং: বুয়েট অ্যালামনাইদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা চাকরির সুযোগ তৈরিতে সাহায্য করে।
  3. বিদেশে স্বীকৃতি: বুয়েট ডিগ্রিকে বিদেশে উচ্চমূল্য দেওয়া হয়, এজন্য তারা সহজেই টপ কোম্পানিতে চাকরি পান।

আমার শেষ কথা

সরাসরি কথায় বলতে গেলে, বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত হবে তা নির্ভর করে সেক্টর, অভিজ্ঞতা ও দেশভেদে ভিন্ন হয়। বাংলাদেশে একজন ফ্রেশ ইঞ্জিনিয়ারের বেতন যেখানে গড়ে ৩০-৭০ হাজার টাকা, সেখানে বিদেশে তা লাখ টাকার ঘরে পৌঁছায়। তবে শুধু বেতন নয়, বুয়েট গ্রাজুয়েটদের হাতে থাকে প্রচুর ক্যারিয়ার সুযোগ, সম্মান এবং উন্নতির পথ। তাই যারা ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার নিয়ে সিরিয়াস, তাদের জন্য বুয়েট এখনো সেরা স্বপ্নের গন্তব্য।

বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১: বাংলাদেশে বুয়েট থেকে পাশ করা ফ্রেশ ইঞ্জিনিয়ারের বেতন কত?
উত্তর: সাধারণত ৩০,০০০ থেকে ৭০,000 টাকার মধ্যে শুরু হয়, তবে বহুজাতিক কোম্পানিতে আরও বেশি হতে পারে।

প্রশ্ন ২: সরকারি চাকরিতে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার কত বেতন পান?
উত্তর: প্রায় ২২,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা, সাথে ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা থাকে।

প্রশ্ন ৩: বিদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়াররা কত আয় করেন?
উত্তর: মধ্যপ্রাচ্যে মাসে ২-৪ হাজার ডলার, আর যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় বছরে ৬০,০০০-৯০,০০০ ডলার পর্যন্ত।

প্রশ্ন ৪: অভিজ্ঞতা বাড়লে বেতন কত বাড়ে?
উত্তর: ৫ বছরের মধ্যে বেতন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, আর ১০ বছরের অভিজ্ঞতায় মাসিক আয় লাখ টাকার ওপরে পৌঁছে যায়।

 

নৌবাহিনীর অফিসার পদের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২০২৫ সালে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত

আপডেট সময় : ০৫:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন বাংলাদেশে কত থেকে শুরু হয় এবং বিদেশে তাদের আয় কত হতে পারে? সরকারি ও বেসরকারি চাকরি, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন, আর ক্যারিয়ার সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত জানুন। বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার কথা বললেই সবার আগে যে নামটি মাথায় আসে, সেটি হলো বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়)। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বুয়েট গ্রাজুয়েটরা নিজেদের দক্ষতার জন্য আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেক শিক্ষার্থী জানতে চান, বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?

আমি যখন প্রথমবার বুয়েটের একজন সিনিয়র ভাইয়ের সাথে দেখা করেছিলাম, তিনি বলেছিলেন,
“চাকরির বাজারে বুয়েটের নামটাই যথেষ্ট, তবে বেতন নির্ভর করে তুমি কোন সেক্টরে কাজ করছ তার ওপর।”
এই কথাটাই সত্যি। চলুন বিস্তারিত দেখি বাংলাদেশ এবং বিদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতনের বাস্তব চিত্র।

বাংলাদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার সুযোগ

বুয়েট থেকে পাশ করা মানেই আপনি শুধু ইঞ্জিনিয়ার নন, বরং বাংলাদেশের চাকরির বাজারে এক ধাপ এগিয়ে।

সরকারি চাকরি

বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন (BPSC) এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকৌশলী পদে বুয়েট গ্রাজুয়েটরা যোগ দেন। সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামো নির্ধারিত হলেও, স্থায়িত্ব এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকে।

বেসরকারি চাকরি

বহুজাতিক কোম্পানি, কনস্ট্রাকশন ফার্ম, টেলিকম, আইটি, এনার্জি সেক্টর—সব জায়গায় বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বিশাল চাহিদা। এখানে বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি এবং পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

বিদেশে সুযোগ

বুয়েট গ্রাজুয়েটরা সহজেই বিদেশের টপ ইউনিভার্সিটি ও কোম্পানিতে সুযোগ পান। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের চাহিদা অনেক।

বাংলাদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কাঠামো

প্রাইভেট সেক্টর

বাংলাদেশে ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হিসেবে একজন বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন সাধারণত ৩০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকার মধ্যে হয়। তবে টেলিকম বা বহুজাতিক কোম্পানিতে এই অঙ্ক আরও বেশি, প্রায় ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমি এক বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইকে চিনি, যিনি একটি বিদেশি কনস্ট্রাকশন ফার্মে কাজ করছেন। তার ফ্রেশ বেতনই ছিল প্রায় ৯৫,০০০ টাকা

সরকারি চাকরি

সরকারি চাকরিতে ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত গ্রেড-৯ বা গ্রেড-১০ এ যোগ দেন। এতে শুরুতে বেতন হয় প্রায় ২২,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা, সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা।

ব্যাংক ও ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর

কিছু বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার ব্যাংক বা ফিন্যান্স কোম্পানিতেও কাজ করেন। এখানে বেতন স্কেল সাধারণত বেশি, প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা দিয়ে শুরু হয়।

শিক্ষাক্ষেত্র

যারা একাডেমিক দিক পছন্দ করেন, তারা লেকচারার বা শিক্ষক হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে বেতন শুরু হয় প্রায় ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা, পরবর্তীতে পদোন্নতির সাথে অনেক বাড়ে।

বিদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন

মধ্যপ্রাচ্য

সৌদি আরব, কাতার, দুবাইতে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা খুব বেশি। সেখানে মাসিক বেতন সাধারণত ২,০০০ থেকে ৪,০০০ ডলার (প্রায় ২-৪ লাখ টাকা)।

ইউরোপ-আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় একজন বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার শুরুতেই বছরে ৬০,০০০ থেকে ৯০,০০০ ডলার (প্রায় ৬০ লাখ থেকে ৯০ লাখ টাকা) আয় করতে পারেন। গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজনের মতো টেক কোম্পানিতে গেলে এই অঙ্ক আরও অনেক বেশি হয়।

গবেষণা ও স্কলারশিপ

অনেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যান। পিএইচডি বা মাস্টার্স স্কলারশিপ করলেও মাসে ১,২০০ থেকে ২,৫০০ ডলার স্টাইপেন্ড পাওয়া যায়।

অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন পরিবর্তন

  • ফ্রেশ গ্রাজুয়েটদের বেতন সীমিত হলেও দ্রুত বাড়ে।
  • ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় একজন ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকাতে পৌঁছানো অস্বাভাবিক নয়।
  • ১০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতায় এবং ম্যানেজারিয়াল পজিশনে গেলে বেতন দাঁড়ায় ৩ লাখ টাকার বেশি

আমার এক বুয়েটিয়ান ভাই বর্তমানে একটি বহুজাতিক কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার। তিনি মাসে ৩.৫ লাখ টাকা বেতন পান, সাথে বিভিন্ন বোনাস ও ভাতা।

কেন বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন বেশি

  1. দক্ষতা ও সুনাম: বুয়েট গ্রাজুয়েটদের টেকনিক্যাল স্কিল এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানের।
  2. নেটওয়ার্কিং: বুয়েট অ্যালামনাইদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা চাকরির সুযোগ তৈরিতে সাহায্য করে।
  3. বিদেশে স্বীকৃতি: বুয়েট ডিগ্রিকে বিদেশে উচ্চমূল্য দেওয়া হয়, এজন্য তারা সহজেই টপ কোম্পানিতে চাকরি পান।

আমার শেষ কথা

সরাসরি কথায় বলতে গেলে, বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত হবে তা নির্ভর করে সেক্টর, অভিজ্ঞতা ও দেশভেদে ভিন্ন হয়। বাংলাদেশে একজন ফ্রেশ ইঞ্জিনিয়ারের বেতন যেখানে গড়ে ৩০-৭০ হাজার টাকা, সেখানে বিদেশে তা লাখ টাকার ঘরে পৌঁছায়। তবে শুধু বেতন নয়, বুয়েট গ্রাজুয়েটদের হাতে থাকে প্রচুর ক্যারিয়ার সুযোগ, সম্মান এবং উন্নতির পথ। তাই যারা ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার নিয়ে সিরিয়াস, তাদের জন্য বুয়েট এখনো সেরা স্বপ্নের গন্তব্য।

বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১: বাংলাদেশে বুয়েট থেকে পাশ করা ফ্রেশ ইঞ্জিনিয়ারের বেতন কত?
উত্তর: সাধারণত ৩০,০০০ থেকে ৭০,000 টাকার মধ্যে শুরু হয়, তবে বহুজাতিক কোম্পানিতে আরও বেশি হতে পারে।

প্রশ্ন ২: সরকারি চাকরিতে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার কত বেতন পান?
উত্তর: প্রায় ২২,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা, সাথে ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা থাকে।

প্রশ্ন ৩: বিদেশে বুয়েট ইঞ্জিনিয়াররা কত আয় করেন?
উত্তর: মধ্যপ্রাচ্যে মাসে ২-৪ হাজার ডলার, আর যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় বছরে ৬০,০০০-৯০,০০০ ডলার পর্যন্ত।

প্রশ্ন ৪: অভিজ্ঞতা বাড়লে বেতন কত বাড়ে?
উত্তর: ৫ বছরের মধ্যে বেতন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, আর ১০ বছরের অভিজ্ঞতায় মাসিক আয় লাখ টাকার ওপরে পৌঁছে যায়।

 

নৌবাহিনীর অফিসার পদের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।