ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্পোরেট কর কি বিস্তারিত জানুন

Md Rejaul Hafiz
  • আপডেট সময় : ১২:৫১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

কর্পোরেট কর কি

কর্পোরেট কর কি, বাংলাদেশে কর্পোরেট করের হার কত, কিভাবে এটি গণনা করা হয় এবং ব্যবসার জন্য এর গুরুত্ব কতটা—এসব নিয়ে সহজ ভাষায় বিস্তারিত জেনে নিন। আমি যখন প্রথমবার ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবি, তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, “কোম্পানিকে কি কর দিতে হয়?”। ব্যক্তিগত আয়কর সম্পর্কে অনেকেই জানে, কিন্তু কর্পোরেট কর বিষয়টি অনেকের কাছেই জটিল মনে হয়। আসলে, কর্পোরেট কর হচ্ছে একটি দেশের অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার অন্যতম মূলভিত্তি।

বাংলাদেশসহ প্রায় সব দেশেই কোম্পানি বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আয়ের নির্দিষ্ট অংশ সরকারকে কর হিসেবে দিতে হয়। এই কর থেকেই সরকারের রাজস্বের বড় একটি অংশ আসে, যা ব্যবহার হয় সড়ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনকল্যাণমূলক কাজে।

কর্পোরেট কর কি?

সহজভাবে বললে, কর্পোরেট কর হলো একটি কোম্পানি তার নেট মুনাফার উপর সরকারকে যে কর দেয়। এটি অনেকটা মানুষের আয়করের মতোই, শুধু পার্থক্য হলো এটি ব্যক্তির নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর নির্ভর করে।

👉 উদাহরণ দিয়ে বলি:
ধরুন, একটি সফটওয়্যার কোম্পানি বছরে ১০ কোটি টাকা আয় করল। এর মধ্যে বেতন, অফিস খরচ, যন্ত্রপাতি কেনাসহ ৬ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেল। এখন নেট মুনাফা থাকল ৪ কোটি টাকা। এই নেট মুনাফার উপর নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হবে, যেটিই কর্পোরেট কর।

কর্পোরেট করের প্রকারভেদ

বাংলাদেশে সব কোম্পানির জন্য করের হার এক নয়। কয়েকটি ভাগ আছে:

১. পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি

স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো সাধারণত কিছুটা কম হারে কর দেয়, যাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়।

২. প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি

এগুলো দেশের বেশিরভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এদের জন্য করের হার তুলনামূলক বেশি।

৩. বিদেশি কোম্পানি

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা বিদেশি কোম্পানিগুলোকেও কর্পোরেট কর দিতে হয়।

৪. বিশেষ খাতভিত্তিক কর

ব্যাংক, বীমা, টেলিকম বা মোবাইল অপারেটরের জন্য আলাদা করের হার নির্ধারণ করা থাকে।

বাংলাদেশে কর্পোরেট কর হার (২০২৫ অনুযায়ী)

বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)-এর তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালে কর্পোরেট কর হার নিম্নরূপ:

  • সাধারণ কোম্পানি: ২৭.৫%
  • লিস্টেড কোম্পানি: ২২.৫%
  • ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৩৭.৫%
  • মোবাইল অপারেটর কোম্পানি: ৪০% পর্যন্ত
  • তথ্যপ্রযুক্তি খাত: নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর ছাড়

(সূত্র: NBR, বাজেট ২০২৫)

এখান থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, খাতভেদে করের হারে বড় পার্থক্য রয়েছে।

কর্পোরেট করের গুরুত্ব

আমি যখন কোনো উদ্যোক্তার সাথে কথা বলি, তাদের একটি সাধারণ প্রশ্ন থাকে—“কেন এত কর দিতে হবে?”

আসলে কর্পোরেট কর শুধু সরকারের জন্য নয়, ব্যবসার জন্যও উপকারী।

  • সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে, যা দিয়ে উন্নয়ন কাজ হয়।
  • একটি স্বচ্ছ ব্যবসা পরিবেশ তৈরি হয়।
  • বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত থাকে যে দেশটির করনীতি শক্তিশালী।

PwC-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, করনীতি যত সহজ হয়, ব্যবসার প্রবৃদ্ধি তত বাড়ে।

কর্পোরেট কর গণনার নিয়ম

কর্পোরেট কর হিসাব করতে গেলে তিনটি ধাপ থাকে:

১. মোট আয় নির্ধারণ করা (বিক্রয়, সেবা, বিনিয়োগ ইত্যাদি থেকে)
২. ব্যবসার খরচ বাদ দিয়ে নেট মুনাফা বের করা
৩. নির্ধারিত কর হারে কর গণনা করা

👉 উদাহরণ:
যদি কোনো কোম্পানি ৫০ লাখ টাকা নেট মুনাফা করে এবং করের হার হয় ২৫%, তবে কর দিতে হবে ১২.৫ লাখ টাকা।

কর্পোরেট কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে এখন অনলাইনে ট্যাক্স ফাইলিং সিস্টেম চালু হয়েছে। আমি নিজে ব্যবহার করে দেখেছি, প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়েছে।

  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হয়।
  • অনলাইন সিস্টেমে কোম্পানির সব লেনদেনের হিসাব আপলোড করতে হয়।
  • দেরি করলে জরিমানা বা অতিরিক্ত সুদ দিতে হয়।

কর্পোরেট কর থেকে ছাড় ও সুবিধা

ব্যবসার প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য সরকার কিছু খাতে ট্যাক্স ছাড় দিয়ে থাকে।

  • নতুন শিল্প কারখানার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের কর ছাড়
  • ১০০% রপ্তানি-নির্ভর শিল্পে বিশেষ কর সুবিধা
  • তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ট্যাক্স ছুটি (২০২৫ পর্যন্ত সম্প্রসারিত)

এ ধরনের ছাড় উদ্যোক্তাদের জন্য সত্যিই বড় অনুপ্রেরণা।

কর্পোরেট কর না দেওয়ার ঝুঁকি

অনেকেই ভাবে, ট্যাক্স ফাঁকি দিলে হয়তো লাভ হবে। কিন্তু বাস্তবে এটি ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হতে পারে।

  • ভারী জরিমানা ও অতিরিক্ত সুদ
  • আইনি জটিলতা ও মামলার ঝামেলা
  • কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব কোম্পানি নিয়মিত ট্যাক্স দেয়, তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি গড়পড়তা ৩০% বেশি।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কর্পোরেট কর

বিশ্বব্যাপী কর্পোরেট করের হার ভিন্ন ভিন্ন।

  • যুক্তরাষ্ট্রে গড় কর্পোরেট করের হার ২১%
  • ভারতে প্রায় ২৫%
  • বাংলাদেশে গড় ২৭% থেকে ৪০%

এখান থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশের কর হার এখনো অনেক খাতে তুলনামূলক বেশি। ফলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে করনীতি আরও সহজ করার প্রয়োজন আছে।

আমার শেষ কথা

কর্পোরেট কর ব্যবসার জন্য অনেকটা রাস্তাঘাটে টোল দেওয়ার মতো। টোল দিলে যেমন সহজে যাতায়াত করা যায়, তেমনি কর দিলে ব্যবসা চালানোও সহজ হয়। আমি সবসময় মনে করি, স্বচ্ছভাবে ব্যবসা করা মানে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। তাই, যদি তুমি উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হও, তবে সময়মতো কর জমা দেওয়া শুধু আইনি দায়িত্ব নয়, বরং এটি তোমার ব্যবসাকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী করবে।

প্রশ্ন: কর্পোরেট কর কি শুধুমাত্র বড় কোম্পানিকে দিতে হয়?
না, বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব ধরনের কোম্পানিকেই কর দিতে হয়।

প্রশ্ন: কর্পোরেট কর এবং আয়করের মধ্যে পার্থক্য কী?
আয়কর ব্যক্তির আয়ের উপর আরোপিত হয়, আর কর্পোরেট কর কোম্পানির নেট মুনাফার উপর।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে আইটি খাতে কি কর ছাড় আছে?
হ্যাঁ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর ছুটি দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন: কর্পোরেট কর না দিলে কী হবে?
জরিমানা, সুদ, আইনি ঝামেলা এবং ব্যবসার সুনাম নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

 

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার মানবন্টন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কর্পোরেট কর কি বিস্তারিত জানুন

আপডেট সময় : ১২:৫১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কর্পোরেট কর কি, বাংলাদেশে কর্পোরেট করের হার কত, কিভাবে এটি গণনা করা হয় এবং ব্যবসার জন্য এর গুরুত্ব কতটা—এসব নিয়ে সহজ ভাষায় বিস্তারিত জেনে নিন। আমি যখন প্রথমবার ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবি, তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, “কোম্পানিকে কি কর দিতে হয়?”। ব্যক্তিগত আয়কর সম্পর্কে অনেকেই জানে, কিন্তু কর্পোরেট কর বিষয়টি অনেকের কাছেই জটিল মনে হয়। আসলে, কর্পোরেট কর হচ্ছে একটি দেশের অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার অন্যতম মূলভিত্তি।

বাংলাদেশসহ প্রায় সব দেশেই কোম্পানি বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আয়ের নির্দিষ্ট অংশ সরকারকে কর হিসেবে দিতে হয়। এই কর থেকেই সরকারের রাজস্বের বড় একটি অংশ আসে, যা ব্যবহার হয় সড়ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনকল্যাণমূলক কাজে।

কর্পোরেট কর কি?

সহজভাবে বললে, কর্পোরেট কর হলো একটি কোম্পানি তার নেট মুনাফার উপর সরকারকে যে কর দেয়। এটি অনেকটা মানুষের আয়করের মতোই, শুধু পার্থক্য হলো এটি ব্যক্তির নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর নির্ভর করে।

👉 উদাহরণ দিয়ে বলি:
ধরুন, একটি সফটওয়্যার কোম্পানি বছরে ১০ কোটি টাকা আয় করল। এর মধ্যে বেতন, অফিস খরচ, যন্ত্রপাতি কেনাসহ ৬ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেল। এখন নেট মুনাফা থাকল ৪ কোটি টাকা। এই নেট মুনাফার উপর নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হবে, যেটিই কর্পোরেট কর।

কর্পোরেট করের প্রকারভেদ

বাংলাদেশে সব কোম্পানির জন্য করের হার এক নয়। কয়েকটি ভাগ আছে:

১. পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি

স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো সাধারণত কিছুটা কম হারে কর দেয়, যাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়।

২. প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি

এগুলো দেশের বেশিরভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এদের জন্য করের হার তুলনামূলক বেশি।

৩. বিদেশি কোম্পানি

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা বিদেশি কোম্পানিগুলোকেও কর্পোরেট কর দিতে হয়।

৪. বিশেষ খাতভিত্তিক কর

ব্যাংক, বীমা, টেলিকম বা মোবাইল অপারেটরের জন্য আলাদা করের হার নির্ধারণ করা থাকে।

বাংলাদেশে কর্পোরেট কর হার (২০২৫ অনুযায়ী)

বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)-এর তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালে কর্পোরেট কর হার নিম্নরূপ:

  • সাধারণ কোম্পানি: ২৭.৫%
  • লিস্টেড কোম্পানি: ২২.৫%
  • ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৩৭.৫%
  • মোবাইল অপারেটর কোম্পানি: ৪০% পর্যন্ত
  • তথ্যপ্রযুক্তি খাত: নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর ছাড়

(সূত্র: NBR, বাজেট ২০২৫)

এখান থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, খাতভেদে করের হারে বড় পার্থক্য রয়েছে।

কর্পোরেট করের গুরুত্ব

আমি যখন কোনো উদ্যোক্তার সাথে কথা বলি, তাদের একটি সাধারণ প্রশ্ন থাকে—“কেন এত কর দিতে হবে?”

আসলে কর্পোরেট কর শুধু সরকারের জন্য নয়, ব্যবসার জন্যও উপকারী।

  • সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে, যা দিয়ে উন্নয়ন কাজ হয়।
  • একটি স্বচ্ছ ব্যবসা পরিবেশ তৈরি হয়।
  • বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত থাকে যে দেশটির করনীতি শক্তিশালী।

PwC-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, করনীতি যত সহজ হয়, ব্যবসার প্রবৃদ্ধি তত বাড়ে।

কর্পোরেট কর গণনার নিয়ম

কর্পোরেট কর হিসাব করতে গেলে তিনটি ধাপ থাকে:

১. মোট আয় নির্ধারণ করা (বিক্রয়, সেবা, বিনিয়োগ ইত্যাদি থেকে)
২. ব্যবসার খরচ বাদ দিয়ে নেট মুনাফা বের করা
৩. নির্ধারিত কর হারে কর গণনা করা

👉 উদাহরণ:
যদি কোনো কোম্পানি ৫০ লাখ টাকা নেট মুনাফা করে এবং করের হার হয় ২৫%, তবে কর দিতে হবে ১২.৫ লাখ টাকা।

কর্পোরেট কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে এখন অনলাইনে ট্যাক্স ফাইলিং সিস্টেম চালু হয়েছে। আমি নিজে ব্যবহার করে দেখেছি, প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়েছে।

  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হয়।
  • অনলাইন সিস্টেমে কোম্পানির সব লেনদেনের হিসাব আপলোড করতে হয়।
  • দেরি করলে জরিমানা বা অতিরিক্ত সুদ দিতে হয়।

কর্পোরেট কর থেকে ছাড় ও সুবিধা

ব্যবসার প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য সরকার কিছু খাতে ট্যাক্স ছাড় দিয়ে থাকে।

  • নতুন শিল্প কারখানার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের কর ছাড়
  • ১০০% রপ্তানি-নির্ভর শিল্পে বিশেষ কর সুবিধা
  • তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ট্যাক্স ছুটি (২০২৫ পর্যন্ত সম্প্রসারিত)

এ ধরনের ছাড় উদ্যোক্তাদের জন্য সত্যিই বড় অনুপ্রেরণা।

কর্পোরেট কর না দেওয়ার ঝুঁকি

অনেকেই ভাবে, ট্যাক্স ফাঁকি দিলে হয়তো লাভ হবে। কিন্তু বাস্তবে এটি ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হতে পারে।

  • ভারী জরিমানা ও অতিরিক্ত সুদ
  • আইনি জটিলতা ও মামলার ঝামেলা
  • কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব কোম্পানি নিয়মিত ট্যাক্স দেয়, তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি গড়পড়তা ৩০% বেশি।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কর্পোরেট কর

বিশ্বব্যাপী কর্পোরেট করের হার ভিন্ন ভিন্ন।

  • যুক্তরাষ্ট্রে গড় কর্পোরেট করের হার ২১%
  • ভারতে প্রায় ২৫%
  • বাংলাদেশে গড় ২৭% থেকে ৪০%

এখান থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশের কর হার এখনো অনেক খাতে তুলনামূলক বেশি। ফলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে করনীতি আরও সহজ করার প্রয়োজন আছে।

আমার শেষ কথা

কর্পোরেট কর ব্যবসার জন্য অনেকটা রাস্তাঘাটে টোল দেওয়ার মতো। টোল দিলে যেমন সহজে যাতায়াত করা যায়, তেমনি কর দিলে ব্যবসা চালানোও সহজ হয়। আমি সবসময় মনে করি, স্বচ্ছভাবে ব্যবসা করা মানে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। তাই, যদি তুমি উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হও, তবে সময়মতো কর জমা দেওয়া শুধু আইনি দায়িত্ব নয়, বরং এটি তোমার ব্যবসাকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী করবে।

প্রশ্ন: কর্পোরেট কর কি শুধুমাত্র বড় কোম্পানিকে দিতে হয়?
না, বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব ধরনের কোম্পানিকেই কর দিতে হয়।

প্রশ্ন: কর্পোরেট কর এবং আয়করের মধ্যে পার্থক্য কী?
আয়কর ব্যক্তির আয়ের উপর আরোপিত হয়, আর কর্পোরেট কর কোম্পানির নেট মুনাফার উপর।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে আইটি খাতে কি কর ছাড় আছে?
হ্যাঁ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর ছুটি দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন: কর্পোরেট কর না দিলে কী হবে?
জরিমানা, সুদ, আইনি ঝামেলা এবং ব্যবসার সুনাম নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

 

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার মানবন্টন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।